সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরীর নামাযে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট গার্ডেনে এ জানাজা সম্পন্ন হয়। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী ঘোষণা দেন-তার সম্মানার্থে সোমবার অবকাশকালীন সুপ্রিম কোর্ট বসছেন না।
জানাজায় সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন,সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন ও সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীনসহ আইনজীবীরা অংশ নেন।
জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতির পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ তার কফিনে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন।
এর আগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) ধানমণ্ডিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি দুই মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার (আজ) বাদ এশা সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার রনকেলী গ্রামে প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ১৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে মেট্রিক, এমসি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি ঢাকা সিটি ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৬৩ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের ২৭ জানুয়ারি তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ১৯৯৯ সালের জুন মাসে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।
২০০১ সালে দশম প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান অবসরের পর বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী একই সালের ১ মার্চ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০০২ সালের ১৮ জুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
এদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শোকবার্তায় আইনমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।