কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গণে স্ত্রী ও শাশুড়িকে পেটানোর ঘটনায় তাৎক্ষণিক ওয়াসিফ বারী চৌধুরী (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এমএম মোর্শেদ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ রায় দেন। আসামি ওয়াসিফ বারী চৌধুরীকে রাতেই জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ওয়াসিফ বারী কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকার মনজুর এহসান চৌধুরীর ছেলে।
আদালত ও আদালত পুলিশ সূত্র জানায়, এক বছর আগে ওয়াসিফ বারীর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার কানিজ ফাতেমা চৌধুরীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে ফাতেমার ওপর অত্যাচার শুরু করে। এরপর থেকে দুজন আলাদা থাকেন। দাম্পত্য জীবন পুনরুদ্ধারের জন্য কানিজ ফাতেমা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার হাদিউজ্জামান আপস মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে তলব করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় মীমাংসার কার্যক্রম শেষে কানিজ ফাতেমা তাঁর শিশু পুত্র, মা ও মামাকে নিয়ে ইজিবাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় আদালত প্রাঙ্গণের মধ্যেই ওয়াসিফ বারী তাঁর ব্যবহৃত প্রাইভেটকার নিয়ে ইজিবাইকে ধাক্কা দেয়। পরে গাড়িতে থাকা লাঠি দিয়ে সবাইকে পেটায়। এতে আহত হয় কানিজ ফাতেমাসহ অন্যরা।
পুলিশ ওয়াসিফ বারীকে লাঠি ও প্রাইভেটকারসহ আটক করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এম এম মোর্শেদের আদালতে হাজির করে। কানিজ ফাতেমা এসে আদালতের বিচারকের কাছে অভিযোগ দেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় তাৎক্ষণিক তাঁকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১৫দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
কুষ্টিয়া আদালতের পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বলেন, এ ধরনের সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ খুব কম হয়। এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ কারাগারে গিয়েছিলেন ওয়াসিফ।