পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর পাঠানো সব অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে বিভাগীয় ও ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আইজিপি কমপ্লেইন্টস মনিটরিং সেলের কার্যক্রমকে আরও কার্যকর এবং গতিশীল করার কথা জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
রাজশাহীর শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় এজাহার বদলের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট এসব কথা বলেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ওই রায়ের অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে মৃত নুরুল ইসলামের পরিবার, সাক্ষী এবং মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায় দেখতে এখানে ক্লিক করুন
রায়ে মামলার এজাহার পরিবর্তন সংক্রান্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদন, সাক্ষিদের বক্তব্যসহ আনুষঙ্গিক কাগজ দুদকে প্রেরণ করতে রাজশাহীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেয়া হয়। আর দুদককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। এছাড়া ওই মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
তদন্তকালে সংবাদ দাতার মূল এজাহারের বর্ণনা, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এবং অনুসন্ধান কার্যক্রমে সাক্ষিদের সাক্ষ্য বিবেচনায় নিতে বলা হয় পিবিআইকে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুঠিয়া থানার সাবেক ওসি শাকিল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আইজিপির কাছে দেয়া সব অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয় রায়ে।
এছাড়া শিশু আইন -২০১৩ অনুযায়ী শিশুদের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো ছবি বা তথ্য গণমাধ্যম এবং ইন্টারনেটে প্রকাশ না করতেও নির্দেশনা দেন আদালত।