মানহানির অভিযোগে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১২ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম নতুন এ দিন ধার্য করেন।
বৃহস্পতিবার এ মামলায় চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মইনুল হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী এ দিন সময় আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত চার্জ শুনানির জন্য আগামী ১২ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর মামলাটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। পরে গত ২৬ অক্টোবর এ আদালতে তা বিচারের জন্য পাঠান চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। ওইদিনই আদালত চার্জ গঠন শুনানির জন্য ২৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।
২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে এক প্রশ্নের জেরে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল। এ মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
ব্যারিস্টার মইনুল তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এরপরও ওই বছর ২১ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি।
ওই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয় মইনুলের নামে। এ মামলায় গত বছরের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল।
পরে কুমিল্লা, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় মামলা হয় তার নামে। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় পাঁচ মাসের ও কুড়িগ্রামের মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল।
তবে রংপুরে দায়ের করা মামলায় একই বছর ২২ অক্টোবর ঢাকার উত্তরা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৫ মামলায় জামিন পাওয়ার পর চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি কারামুক্ত হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
পরে এ মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগ গত ২১ আগস্ট ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মইনুল হোসেন বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ কললে দ্বিতীয় দফায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৮ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান।