একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, “আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরিই ভারতের মত আমাদের দেশে আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পাবে। এই আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হবেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন চত্বরে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৪তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে পিছিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে মাহবুবে আলম বলেন, “বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির একজন সদস্য হিসেবে আমি লক্ষ্য করেছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আধিপত্য ছিল সেই আধিপত্য যেন আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে।”
আবার কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল ‘সার্টিফিকেট বিক্রি করে’ মন্তব্য করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, “তাদেরকে অনেক সময় আইনজীবী নিবন্ধন হওয়ার তালিকা থেকে বাদও দেওয়া হয়েছে।”
আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম আফজাল-উল-মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে প্রধান বিচারপতির স্ত্রী আইন বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিনা খালেক, সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু, সাবেক সভাপতি এস এম মুনির বক্তব্য দেন।
এর আগে বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন আইন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহা. মাহফুজুর রহমান আল মামুন।