দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা দুই মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে দুই মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
দুদক কৌঁসুলী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর এই দুই মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছিল।
গত ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।
এই মামলায় মিজানুর রহমান কারাগারে আছেন। গত বছরের ১ জুলাই শাহবাগ থানা পুলিশ মিজানকে গ্রেফতার করে। পরদিন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান বিচারক।
মামলার বর্ণিত সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানকালে দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে নতুন করে আলোচনায় আসেন ডিআইজি মিজান। পরে ঘুষ লেনদেনের বিষয়েও মামলা হয়। গত বছরের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা ঢাকার ১ নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি দল। বাছিরকে গ্রেফতারের পরদিন আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপরদিকে এই মামলায়ও পরে মিজানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। দুটি মামলাতেই রোববার ডিআইজি মিজানের করা জামিন আবেদন খারিজ হয়।