পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য যদি মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তাকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ‘পুলিশ সপ্তাহের তৃতীয় দিন ৫৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে আইজিপি ব্যাজ বিতরণ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, মাদককারবারিদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের সখ্যতা-সম্পৃক্ততা পেলেই তাদের বিরুদ্ধে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা নয়, প্রচলিত মামলায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় মাদক, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই।
তিনি বলেন, আমরা থানাকে মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক করতে চাই। অসহায় ও নিপীড়িত মানুষ প্রথমে থানায় আসে। থানা হলো পুলিশের সেবার কেন্দ্রবিন্দু। সুতরাং থানাকে হতে হবে সেবার রোল মডেল। আমরা সেলক্ষ্যেই কাজ করছি।
সেলক্ষ্যে থানার প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) ডেকে মাদক-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও দুর্নীতি বিরুদ্ধে কী ভূমিকা নিতে হবে সেটা ব্রিফ করা হচ্ছে। ওসিরা মানুষের সেবা ও নির্ভরতার প্রতীক হবেন বলে আশাবাদী তিনি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি পুলিশে নিয়োগ ও পদায়ন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও একাধিকবার প্রশংসা করেছেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এতে আমরা গর্বিত অনুপ্রাণিত। কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছতার এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, দুই লাখ ১২ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৫৯৫ জন আইজিপি ব্যাজ পেয়েছেন। তারা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পুলিশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন। তবে সবাইকে যদি পুরস্কৃত করতে পারতাম তাহলে আরও খুশি হতাম। যারা পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
যারা এবারের পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলনের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন প্যারেড উপহার দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণাও দেন তিনি