১২ কোটি টাকা ফি: আইনজীবীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ঊচ্চ আদালত

ইভিএমে ভোট না করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নির্বাচন না করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে ইভিএম সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ এবং এর বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব ও নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, ইভিএম সংক্রান্ত আইন সংসদে পাস হয়নি এবং আরপিও ধারা ২৬-এ অনুযায়ী ইভিএম বাধ্যতামূলক নয়। সুতরাং এ আইন জরুরি ছিল না। এটি সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, অনুচ্ছেদ ৯৩ কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে সংসদ না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করতে পারে। ২০১৮ সালে সংসদ বহাল ছিল এবং ইভিএম জরুরি ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ৬টি কেন্দ্রে ইভিএম চালু ছিল। কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি।

রিটে আরও বলা হয়, এছাড়া সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে এবং অন্য আইনে জনগণের সরাসরি গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার বিধান আছে, কিন্তু যন্ত্রের মাধ্যমে নয়। যন্ত্রের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটার যাচাই বাছাই করা যেতে পারে, কিন্তু ভোট ব্যালটের মাধ্যমেই সরাসরি দিতে হবে। আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে ইভিএম নেই। ওই আইন পাস করতে জনগণের গণভোটও নেওয়া হয়নি। ওই আইন সংবিধানের ৭, ১১, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৯৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এছাড়াও গণতন্ত্রই সংবিধানের মূল ভিত্তি এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ইভিএম অসাংবিধানিক উল্লেখ করে এই আইনে নির্বাচন না করার নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে রিটে।