ঢাকায় কী কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে ও দূষণরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সেসব বিষয়ে আগামীকাল সোমবার (১৩ জানুয়ারি) আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনিজল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে ঢাকায় কী কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে ও দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সেসব বিষয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত। পাশাপাশি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের সব অবৈধ ইটভাটা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনিজল মোরসেদ।
প্রসঙ্গত,২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৮ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুল জারির পাশাপাশি বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা নিতে অন্তবর্তীকালীন আদেশও দেন। ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানীর যেসব এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে যেসব এলাকা ঘেরাও করে পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে ওই আদেশ পালন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা পরিমাপ করে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে,তা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।