রাজশাহীতে ‘বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত’–এর যাত্রা শুরু হয়েছে। এই আদালতের আওতায় ইতোমধ্যে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের উদ্যোগও গ্রহণ কর হয়েছে। নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের উদ্যোগ নেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মো. সাদেকীন হাবীব বাপ্পী।
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ ও এইচ এম ইলিয়াস হোসাইন ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল আলম মোহাম্মদ নিপুর নির্দেশক্রমে জেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম সাহেববাজারে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
এ সময় খাদ্য পরিদর্শক ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ নগরের বিভিন্ন ‘খাদ্য স্থাপনা’ পরিদর্শন করেন। নগরের চিলিস রেস্টুরেন্ট-এর রান্নাঘর, বিশাল কনফেকশনারি ও কণ্ডু বেকারির মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং নিম্নমানের শিশুখাদ্য, চকলেট, টমেটো সস, কাস্টার্ড পাউডার, পান-মসলাসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়।
নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩-এর বিধি সম্পর্কে ওই কার্যক্রমে সবাইকে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়। ওই কার্যক্রমে উপস্থিত ক্রেতা ও ভোক্তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই কার্যক্রম ভবিষ্যতে চালু থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবং নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩–এর ৬৫ (১) ও ৬৫ (২) ধারা মোতাবেক এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
আদালত পরিচালনার সময় বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, আদালতের বেঞ্চ সহকারী মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।