নিরাপরাধ ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে জেলহাজতে পাঠানো, বিচারপ্রার্থীসহ আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা, অবিচারকসুলভ আচরণ এবং অনৈতিক ও বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে কুড়িগ্রাম জেলা ও যুগ্ম দায়রা জজ মো. তারিখ হোসেনের এজলাস বর্জন করে তার প্রত্যাহার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুড়িগ্রাম জেলার আইনজীবীরা।
কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে রোববার (১২ জানুয়ারি) সমিতির অ্যাডভোকেট এটি এম এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীরা বলেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই বিচারককে প্রত্যাহারের করা না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জমিজমা সংক্রান্ত একটি দেওয়ানি মামলায় বাদী ও বিবাদী আদালতের বাইরে সমঝোতা করার পর বাদী নার্গিস হক মামলা প্রতাহারের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক বাদীর আবেদন আমলে না নিয়ে বেআইনিভাবে বিবাদী আসাদুর জামান সবুজ ও তার মা আসমা বেগমকে জেলহাজতে পাঠান। যা দেওয়ানি মামলায় ওই বিচারকের সম্পূর্ণ এখতিয়ারের বাইরে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ওই বিচারক তার আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বাদী করে উক্ত দুই বিবাদীর বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন যা আইনসম্মত নয়। এ অবস্থায় জেলা ও যুগ্ম দায়রা জজ মো. তারিখ হোসেন বিচারিক কাজ পরিচালনার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবীরা জানান, বেআইনী ভাবে ওই দুই বিবাদীকে জেলহাজতে পাঠানোর পর জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলাম এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন ওই বিচারকের চেম্বারে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুজিৎ চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট তারিকুর রহমান তারিকসহ অন্য আইনজীবীরা।