হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার অভিযোগ থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেন রোববার (১২ জানুয়ারি) এই আদেশ দেন।
এর আগে রাজধানীর ভাষানটেক থানার পুলিশ এই মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে বলা হয়, ব্যারিস্টার সুমনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্ম অবমাননার ঘটনা ঘটেনি। তাই তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করছি।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন জানান, রোববার পুলিশের প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় বাদী কোনো নারাজি আবেদন করেনি। তাই পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার অভিযোগ থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতির আদেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২২ জুলাই বাংলাদেশ গৌতম কুমার এডবর নামে রাজধানীর ভাষানটেকের এক ব্যক্তি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ফেসবুকে লিখেছেন- ‘পৃথিবীর মধ্যে নিকৃষ্ট ও বর্বর জাতি হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী, যাদের ধর্মের কোনো ভিত্তি নেই। মনগড়া বানানো ধর্ম।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৯ এপ্রিল সনাতন ধর্ম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মিথ্যা, অশ্লীল চরম আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ফলে হিন্দু সমাজ তথা গোটা জাতির মধ্যে এ বিষয় নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আসামির এ রকম আচরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল অবমাননাকর ও অরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ফলে রাষ্ট্র ও হিন্দু সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।
আসামির এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলে সাধারণ জনগণ নীতিভ্রষ্ট, অসৎ থেকে ঔদ্ধত্য হওয়ায় ফলে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কিন্তু এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সুমন আগে থেকেই বলে আসছেন, তার নামে চালানো ওই ফেসবুক আইডিটি ভুয়া। তিনি গত ২০ জুলাই তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে একটি ফেক পেজ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। আমি এ বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। আপনারা সচেতন থাকবেন। এটিই আমার একমাত্র পেজ। যার ফলোয়ার ২০ লাখের অধিক।’