বই না পড়লে ভালো আইনজীবী হওয়া যাবে না উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘বই হলো আইনজীবীদের বাইবেল। বই সবসময় তার পাশে থাকতে হবে। যেখানে যাবেন বইটা সাথে রাখবেন। আমি আশা করি সবাই বই কিনবেন, কিনলেই হবে না পড়তে হবে। বই পড়ে, বুঝে তারপর কোর্টে প্লেস করতে হবে।’
দেশের খ্যাতিনামা আইনজীবী, বিচারক এবং মানবাধিকার কর্মীদের লেখা আইনের বই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহব্যাপী বইমেলা। রোববার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ মেলার উদ্বোধনকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ মন্তব্য করেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বই না পড়লে ভালো আইনজীবী হওয়া যাবে না। আর ভাল আইনজীবী হতে হলে সবসময় সাথে বই রাখতে হবে। আর বই কিনলেই হবে না, বই পড়তে হবে। এবং পড়ে বুঝে তারপর বইয়ের রেফারেন্স কোর্টে প্লেস করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় সাংবিধানিক পয়েন্টে কোনো কথা হচ্ছে কিন্তু বিজ্ঞ আইনজীবী কোর্টে সংবিধানই নিয়ে যাননি। বইয়ের প্রতি অনীহা থাকলে কোনো আদালতের রায় ভালো হবে না।’
ডিজিটাল বই বিচার বিভাগকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং ডিজিটালাইজেশন যদি হয়, জুডিশিয়ারির কাজ অনেক কমে যাবে বলেও মনে করেন তিনি। আইনজীবী সমিতিকে ডিজিটালাইজেশনের দিকে যেতে আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা এখন যে ধরনের বই ব্যবহার করি সে ধরনের বই হয়তো আগামী ১০ বছর পর থাকবে না। সব হয়ে যাবে ডিজিটাল বুক। আজকে যে মেলা হচ্ছে, সে ধরনের মেলাও আর থাকবে না। তখন হয়তো দেখা যাবে, একেকটা স্টলে একেকটা কম্পিউটার। তখন বলবে যে আপনি কোনো সফটওয়ার কিনতে চান। সুতরাং আমি আশা করবো, আপনারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। আমাদের ডিজিটাল বই আমাদের বিচার বিভাগকে আরো সমৃদ্ধ করবে এবং ডিজিটালাইজেশন যদি হয় আমাদের বিচার বিভাগের কাজও অনেক কমে যাবে।’
বইমেলার এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বক্তব্য রাখেন। এরপর মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন প্রধান বিচারপতি।
এবারের মেলায় ৫২টি বইয়ের স্টল রয়েছে। যেখানে দেশি-বিদেশি আইনের বই এবং সাহিত্য, জীবনীসহ বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যাবে।
ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা দুই সপ্তাহ এ মেলা চলবে বলে জানান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সুপারিনটেনডেন্ট নিমেশ চন্দ্র দাস।