আদালতের কাছে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ নেওয়াজ। আদালত উক্ত প্রার্থনা মঞ্জুর করে তাকে আদালত অবমাননার অভিযোগ হতে অব্যহতি প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেন।
উল্লেখ্য, পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ নেওয়াজকে পাবনার ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ আদালত অবমাননার জন্য গত বছরের ১ ডিসেম্বর আদালতে তলব করেন এবং চলতি বছরের ১২ জানুয়ারির মধ্যে তাকে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। একই সাথে আদালত হতে ইতিপূর্বে প্রেরিত চিঠির উত্তর প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে পাবনার জেলা প্রশাসক ধার্য তারিখের পূর্বেই আদালতে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী সিনিয়র সহকারী জজ আদালত হতে গত ২৪ নভেম্বর একটি মামলায় দখল প্রদানের কাজে সহযোগিতার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর খরচ বাবদ কত টাকা এবং কোন হিসাবে জমা দিতে হবে তা জানতে আদালত হতে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের দপ্তর হতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ নেওয়াজ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আদালতে পাঠানো হয় যেখানে আদালত থেকে যে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় তার উত্তর না দিয়ে আদালতের চিঠির ভাষাগত ভুল উল্লেখ করে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য আদালতকে বলা হয়। এমনকি আদালতের চিঠিকে সাধারণ দাপ্তরিক ভদ্রতা ও শিষ্টাচার বিবর্জিত এবং ভদ্রোচিত নয় বলে উল্লেখ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর এমন আচরণে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আদালতের বিরুদ্ধে একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মচারির এমন ভাষা ব্যবহারকে আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য করেন। তাছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিজ্ঞাসিত বিষয়ের উত্তর না দেয়ায় মোকদ্দমা নিষ্পত্তি বিলম্ব ও পক্ষদের ভোগান্তি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। জেলা প্রশাসক এর দপ্তর হতে প্রেরিত চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদালত পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে ব্যখ্যা প্রদানে নির্দেশ প্রদান করে। এর প্রেক্ষিতে আদালতের কাছে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত উক্ত প্রার্থনা মঞ্জুর করেন এবং তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন।