চেক ডিজঅনারের (চেক প্রত্যাখ্যান) মামলায় অপরাধীকে সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকে লিখিত অর্থের চারগুণ অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ‘নোগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট’ সংশোধন করে ‘বিনিময়যোগ্য দলিল আইন, ২০২০’ নামে নতুন আইন করা হচ্ছে।
‘বিনিময়যোগ্য দলিল আইন, ২০২০’ এর খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতামতের পর আইনটি চূড়ান্তভাবে প্রণয়ন করা হবে।
খসড়ার সপ্তম অধ্যায়ে শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি তার কোনো ব্যাংকের হিসাবে অপর কোনো ব্যক্তিকে যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধের জন্য চেক লিখে দিয়েছেন কিন্তু তার ব্যাংক হিসাবে যে পরিমাণ টাকা আছে তা দিয়ে চেক সমন্বয় করা সম্ভব না হয়, অর্থাৎ হিসাবে সে পরিমাণ টাকা নেই; আবার উক্ত হিসাব হতে টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংকের সাথে যে পরিমাণ টাকার চুক্তি করা হয়েছে তা অতিক্রান্ত হওয়ায় কিংবা স্বেচ্ছায় ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লেনদেন স্থগিত বা বন্ধ করার কারণে ব্যাংক কর্তৃক উক্ত চেকটি অপরিশোধিত হয়ে ফেরত আসলো, তাহলে ওই ব্যক্তি এর দ্বারা অপরাধ সংঘটন করেছে বলে বিবেচিত হবে।’
এ অপরাধে অপরাধী এ আইনের বিপরীতে কোনো বিধানের অবর্তমানে সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা চেকে লিখিত অর্থের চারগুণ অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বর্তমানে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টে চেক ডিজঅনারের মামলায় এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট যে পরিমাণ টাকা উল্লেখ করা হয় তার তিনগুণ জরিমানা করা হয়। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
সূত্র জানায়, বিনিময়ের উপাদান সংক্রান্ত আইন নিয়ে ১৮৮১ সালে তৈরি করা হয়েছিল ‘হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১ (দ্য নিগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১)’। এই আইন প্রমোজরি নোট (অঙ্গীকারপত্র), বিনিময় বিল (বিল অব এক্সচেঞ্জ) এবং চেক ডিজঅনারের ক্ষেত্রে ব্যবহারে হয়ে আসছে।
নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘দ্য নিগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১’ রহিতক্রমে উহা পরিমার্জনপূর্বক সময়োপযোগী করে নতুনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন। একই নতুন আইনে শিরোনাম করা হয়েছে ‘বিনিময়যোগ্য দলিল আইন, ২০২০’।