দেশে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদের স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্র ‘অ্যান্টি রেপ ডিভাইস’ সরবরাহের বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, ব্যারিস্টার শারমিন শিউলী ও অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।
আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম জানান, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটিতে বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ‘অ্যান্টি রেপ ডিভাইস’ সরবরাহের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে এ রিট দায়ের করা হয়।
রিটে নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে অ্যান্টি রেপ ডিভাইস আনতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, কোনও নারী তার শরীরে অ্যান্টি রেপ ডিভাইস বহন করা অবস্থায় তাকে কেউ যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করলে সংক্রিয়ভাবে ৯৯৯ নম্বরে কল চলে যাবে। এটা উন্নত দেশে ব্যবহার করা হয়।