অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের সকল আদালতসমূহকে ই-জুডিশিয়ারির আওতায় আনতে এবং ই-কোর্ট রুম স্থাপনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন।
আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন জানান, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন জানাতে আইন সচিব, তথ্য-প্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, পরিকল্পনা সচিব এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, মামলাজট হ্রাসে এবং বিচারপ্রার্থীর দুর্ভোগ লাঘবে গত ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন।
রিট আবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অনেক দেশের আদালতসমূহ ই-জুডিশিয়ারির আওতাভুক্ত। যা গ্রীন কোর্ট কনসেপ্টকে প্রতিনিধিত্ব করে। অর্থাৎ বিচার বিভাগ ডিজিটাল হলে কাজগজের ব্যবহার কমবে ফলে গাছ বেঁচে যাবে। এছাড়া মামলাজটের কারণে বিচারপ্রার্থীর সময় ও সম্পদ (অর্থ) নষ্ট হচ্ছে যা সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী। এছাড়াও সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপ্রার্থী মানসম্পন্ন জীবন যাপনে সক্ষম হবে। পাশপাশি ই-জুডিশিয়ারি চালু হলে আদালতের আদেশ অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিপালন করা সহজ হবে। ফলে জামিন আদেশ, সাজা পরোয়ানা মূহুর্তে দেশের সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাবে। সর্বোপরি বিচার বিভাগ ডিজিটাল হলে দুর্নীতি কমবে। এতে করে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫(৩) অনুযায়ী, ‘ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী হইবেন।’