বৈষম্য বিলোপ আইন তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই আইনের খসড়া প্রস্তুতের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রোববার (১৯ জানুয়ারি) মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে আইনমন্ত্রী এ কথা জানান।
এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত আব্দুল মান্নানের স্মরণে রোববার সংসদে শোকপ্রস্তাব ও এর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
পর অধিবেশন মুলতবি করা হয়। ফলে রোববারের প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
লিখিত উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া প্রস্তুতের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। এছাড়া সব স্টেক হোল্ডারদের অংশগ্রহণে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিগগির এ সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই আইনের খসড়া প্রণয়নের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, সরকারি কৌঁসুলিদের মামলা পরিচালনার সুবিধার্থে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। তবে তা বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা এখনও নির্ধারিত হয়নি।
বিএনপির সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের লিখিত জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে উচ্চ আদালত ও অধঃস্তন আদালতসমূহের ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৯টি। এর মধ্যে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৪ লাখ ৫৩ হাজার, ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২০ লাখ ৯০ হাজার এবং অন্যান্য মামলার সংখ্যা ৯৭ হাজার। আর উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ১৩ হাজার এবং অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩১ লাখ ২৭ হাজার।’
বিচারাধীন মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্নমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।