রাজধানীর ট্রাফিক সিগন্যালের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়ে অপারেটিভ সিগন্যাল সিস্টেম মনিটরিংয়ে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরির্দশক, ডিএমপি কমিশনার, কমিশনার ট্রাফিক, দুই সিটি করপোরেশনের সিইওকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ট্রাফিক সিগন্যালের বিধি প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনারকে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুলাইমান হাওলাদার মিন্টু।
এর আগে, রোববার (১৯ জানুয়ারি) ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটে ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়ে অপারেটিভ সিগন্যাল সিস্টেম মনিটরিংয়ে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আইনজীবী জানান, দিনের পর দিন ট্রাফিক সিগন্যালের অব্যবস্থাপনার জন্যে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটছে। ঠিক মতো বাতি জ্বলছে না। দেখা গেছে, বাতি জ্বলছে তারপরও ট্রাফিক পুলিশ হাতের ইশারায় গাড়ি থামিয়ে আবার চলতে বলছে।