রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া এবং ইডিপি না নিয়ে কারখানা গড়ে ওঠায় ঢাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
বুড়িগঙ্গায় পানি দূষণের বিষয়ে এক রিটের সম্পূরক আবেদনের শুনানিতে আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
একই সঙ্গে বুড়িগঙ্গার দূষণ নিয়ে ওয়াসার এমডির আদালত অবমাননার বিষয়ে আদেশ দেয়ার জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করেন আদালত।
আদালতে আজ বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।
বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিটটি করা হয়। রিটের শুনানি শেষে তিন দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০১১ সালের ১ জুন রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের শুরুতে এ রায় নিয়ে এইচআরপিবি একটি সম্পূরক আবেদন করে।
ওই আবেদনের পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জনস্বার্থে করা এক রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে ২০১১ সালে আদালত অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বুড়িগঙ্গার ভেতরে যেসব সুয়ারেজ লাইন আছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইন আছে সেগুলো ছয় মাসের মধ্যে বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বুড়িগঙ্গার তীরে যেন ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে, সেজন্য সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করতে হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এই নির্দেশনাগুলো পুরোপুরি পালন না করায় এ সম্পূরক আবেদন করা হয়।