দীর্ঘদিন অতিবাহিতের পরও ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের কপি না দেয়ায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ভারপ্রাপ্ত নকল ইনচার্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুকাতে রাব্বিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আদেশের কপি না দেয়ার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আছরারুল হক। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সরোয়ার পায়েল।
পরে অ্যাডভোকেট মো. আছরারুল হক বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার আদেশের সার্টিফাইড কপি না দেয়ার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে আদালত সন্তুষ্ট হননি। তাই ফের তাকে তলব করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজউকের আইনজীবী আদালতকে জানান, আদেশের সার্টিফাইড কপির জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ফরওয়ার্ডিং প্রয়োজন হয়। ওই ফরওয়ার্ডিং এখনও আসেনি। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের সার্টিফাইড কপি দেয়ার প্রক্রিয়া জানতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ভারপ্রাপ্ত নকল ইনচার্জ মাসুকাতে রাব্বিকে তলব করেছেন।
এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর প্রথম জেসমিন আক্তারকে তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রকল্প উপদেষ্টা লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটিকে করা এক লাখ টাকার জরিমানার আদেশের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয়া হয়। প্রকল্প উপদেষ্টার কারিগরি পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
গত ১৪ নভেম্বর রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রকল্প উপদেষ্টা লিমিটেড নামের একটি কনসালটিং, আর্কিটেক্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। ওই দিনই জরিমানার টাকা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর এ আদেশের কপি চেয়ে ৪ ও ৫ ডিসেম্বর আবেদন করে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত আদেশের কপি সরবরাহ করা হয়নি। এ কারণে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলও করতে পারছেন না তারা। এ অবস্থায় আদেশের কপি চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তারা।