ঘুষের টাকা না পেয়ে সহকারী শিক্ষকের বেতন বন্ধ করা লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক।
উপজেলার কুমড়ীরহাট এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় জিডি করেছেন একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম।
এ দিকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজল। প্রতিবাদ করেন তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদেরও। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করা শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলামকে সপরিবারে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। এ হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সহকারী শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৯৭১) দায়ের করেন।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। নিয়োগের সময় মনোয়ারের কাছে ৮ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন প্রধান শিক্ষক কাজল। না পেয়ে ১ জানুয়ারি বই উৎসব থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সামনে প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম কাজল সহকারী শিক্ষক (গণিত) মনোয়ারুল ইসলামকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেন বেতনও। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই বেতন বন্ধ করায় বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম।
এ নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি একটি অনলাইন পোর্টালে ‘ঘুষ না পেয়ে শিক্ষকের বেতন বন্ধ করলেন প্রধান শিক্ষক’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে সচেতন হয় শিক্ষা বিভাগ। একইসঙ্গে দুর্নীতির তদন্তে মাঠে নেমে পড়েন সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এরইমধ্যে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ২২ জানুয়ারি দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দফতরে গণপিটিশন দাখিল করে বিচার চাওয়া হয়।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সহকারী শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলামের আবেদনটি জিডি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।