নির্বাচনি হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন।
আগামীকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
বিচাপরপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক নিজেই রিট দায়েরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এই বিচারপতি। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের সাথে দেখা করে তার হাতে নোটিশের কপি তুলে দেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। নোটিশে তাবিথের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ তোলা হয়।
সেদিন নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বিচারপতি মানিক সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি মানিক জানান, ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে এই আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের এমএফএম কোম্পানিতে তিনজন শেয়ারহোল্ডার আছেন। তিনজনের মধ্যে একজন হলেন তাবিথ আউয়াল। বাকি দুইজন তার সহোদর, এই তিনজন মিলে এই কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক। সেই কোম্পানির মূল্য ২ মিলিয়ন ডলার দেখানো হয়েছে। সেখান থেকে যে লাভ দেখানো হয়েছে, সেটা একটি বড় অঙ্ক। তার চেয়ে বড় কথা এই কোম্পানির তথ্য তাবিথ আউয়াল নির্বাচনি হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইনে আছে তার এবং তার পরিবারের সব সম্পদের হিসাব দেখাতে হবে। এটি মারাত্মক আইনের খেলাপ। আইনে আছে হলফনামায় যদি তথ্য গোপন করা হয়, তাহলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। সেই অর্থে তাবিথ আউয়াল অযোগ্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই নথি দেখেছি মাত্র দুই দিন আগে। এই ব্যাপারে তাবিথ আউয়ালকে সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি তখন বিষয়টি অস্বীকার করেননি।’
আইনি নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এটি একটি লিগ্যাল নোটিশ আকারে ইসিকে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম অনেকক্ষণ সময় নিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন। তিনি জানিয়েছেন এই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তাবিথ আউয়াল যদি নির্বাচনে জিতে যান তাহলেও এই অভিযোগের কারণে টিকে থাকতে পারবেন না। তার সিট খালি হয়ে যাবে। আমরা রিট আবেদন করার কথাও ভাবছি। যেহেতু এটি একটি মারাত্মক খেলাপি কাজ, দেশের স্বার্থে নির্বাচনের স্বার্থে আমাদের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আমরা এমনও ভাবছি, রোববার আমরা রিট আবেদন করতে পারি। তার নথিগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে আমি কিন্তু এখানে আসতাম না।’