সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কক্সবাজার জেলার ঘোষিত চূড়ান্ত ফল ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
কক্সবাজারের মহেশখালীর বাসিন্দা জুবলি ইয়াসমিন শান্তাসহ ৩ জনের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩-এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ষাট শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা, বিশ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি বিশ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হইবে। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বরের ঘোষিত ফলের ক্ষেত্রে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। তাই কক্সবাজারের মহেশখালীর বাসিন্দা জুবলি ইয়াসমিন শান্তাসহ ৩ জন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
তিনি আরও বলেন, আজ (রবিবার) আদালত কক্সবাজার জেলার ফলের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার আদালতে রিট আবেদনটি সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থাপন করা হয়, আজ (রবিবার) আবেদনটির উপর শুনানি করে রুলসহ এ আদেশ দেন আদালত। আবেদনকারীরা বলেন -বিধি মেনে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হলে তারা সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ পেতেন। অনিয়মের মাধ্যমে ঘোষিত এ ফলাফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মর্মে আদালতের নজরে আনেন।
গত ১৫ জানুয়ারি নীলফামারী ও বরগুনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে স্থগিত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই দিন নওগাঁ ও ভোলা জেলায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে ২০ জানুয়ারি পটুয়াখালী, মাদারীপুর ও সিরাজগঞ্জসহ ১৪ জেলাতে স্থগিত করা হয়েছে। আজ (২৬ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলার ফল স্থগিত করা হলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।