প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
কুমিল্লার বাগিচাগাওয়ে ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর স্মরণ সভায় শনিবার (২৫ জানুয়ারি) তিনি এসব কথা বলেন। বাগিচাগাওয়ে অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর বাসভবনে এ কুলখানির আয়োজন করা হয়।
এদিন দুপুরে অ্যাডভোকেট আহমদ আলীর বাসায় যান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি সেখানে আহমেদ আলীর পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বললে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। পরে মধ্যাহ্নভোজের শেষে প্রধান বিচারপতি শোক বইয়ে মন্তব্য লিখেন।
মন্তব্যে প্রধান বিচারপতি লিখেন- ‘মরহুম জনাব আহমেদ আলী কুমিল্লার একজন খ্যাতিমান আইনজীবী ছিলেন, তিনি আমার শিক্ষক ছিলেন ও আমার পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, গণপরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি বাংলাদেশের মহান সংবিধান প্রণয়ন এর সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি’।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, নবীনগরের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এবাদুল করিম বুলবুল। কুমিল্লার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা। কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ্ব ওমর ফারুক। ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলামসহ দেশবরেণ্য আইনজীবী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অ্যাডভোকেট আহমদ আলী গত ১১ জানয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেন।
তিনি একাধারে একজন ভাষা সৈনিক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কুমিল্লার প্রথম প্রশাসক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, জাতীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২৩ সালের পহেলা মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার। কাজলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।