কুষ্টিয়ায় লাল্টু নামে দোকান কর্মচারীকে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ সাজা দেন।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার শহীদ লিয়াকত হোসেন সড়ক এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে লিটন (৩২)।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌঁশুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীভাবে প্রমাণিত হওয়ায় পেনাল কোড দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামি লিটনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ জুন রাত সাড়ে ১১টায় শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায় ৩ নম্বর স্কুল সংলগ্ন নয়নের দোকানের সামনে গার্মেন্টস দোকান কর্মচারী ইয়াছির আরাফাত লাল্টু চিপস খাচ্ছিল। এসময় আসামি লিটন হঠাৎ এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে লাল্টুকে জখম করে পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় লাল্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাল্টুকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরদিন ২১ জুন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাল্টুর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত ইয়াছিন আরাফাত লাল্টুর বাবা খন্দকার সামসুল আলম কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিটনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের অক্টোবরে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।