ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিকের করা রিট আবেদন পর্যবেক্ষণসহ সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। ফলে সিটি নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা ঠিক রয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে শুরু করে ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের মতো শুনানির পর হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। অন্যদিকে তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুকন উদ্দিন মাহমুদ ও খায়রুল আলম চৌধুরী। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার ড. মো. ইয়াসিন খান। এ সময় আদালতে আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতায় রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার এএম মাহাবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি ও ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।
এর আগে নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক এই রিট আবেদন করেন। রিটে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাবিথের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। এ সময় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
বিচারপতি মানিক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘সিঙ্গাপুরে এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে তাবিথ আউয়ালসহ তিনজনের শেয়ার রয়েছে। অন্য দু’জন তার সহযোগী। এ কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক হয়েছেন তারা। কোম্পানির মূল্য ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপর। কিন্তু ওই কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে।’