বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (বিসিএস) প্রবেশের সুযোগ ৩২ বছর করার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানিতে আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, ভারতে সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ বছরের বিধান রয়েছে। আদালত তখন বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো, কমানো সরকারের পলিসির বিষয়।’
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন মো. কামরুজ্জামান কাকন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
রিট আবেদনটি হাইকোর্টের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার পর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন তা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘এখন এই রিট নিয়ে হাইকোর্টের অপর কোনো বেঞ্চে শুনানির জন্য যাব।’
এর আগে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (বিসিএস) বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে সাধারণ বিসিএসে প্রবেশের সুযোগ ৩২ বছর চাওয়া হয়।
রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঁচ বিসিএস পরীক্ষার্থীর পক্ষে আইনজীবী কামরুজ্জামান কাকন এই রিট করেন। রিটের বিবাদীরা হলেন- পিএসসির চেয়ারম্যান, শিক্ষাসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
রিটের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, বিসিএসে বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এই বিধিতে বলা আছে, যারা সাধারণ বিসিএস ক্যাডারে পরীক্ষা দেবে, তারা ৩০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারবে। অথচ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় ৩২ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় ১৪ উপবিধিতে বলা আছে, শিক্ষা ক্যাডারেও ৩২ বছর পর্যন্ত পরীক্ষার সুযোগ পাবে।
আইনজীবী বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিসে ৩২ বছর পর্যন্ত সুযোগ পাচ্ছে। অথচ সাধারণ বিসিএসে অংশগ্রহণকারী ৩০ বছর পর্যন্ত সুযোগ পাবে। এটা সাংঘর্ষিক। চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেন সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়, রিটে আমরা তা চেয়েছি। ৩০ বছর পার হয়ে যাওয়ায় বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত বিজিত শিকদারসহ পাঁচ পরীক্ষার্থী রিটটি দায়ের করেন।