শিশু দিবাযত্নকেন্দ্রে (ডে-কেয়ার সেন্টার) নিরাপত্তা ভঙ্গ করা হলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এ রকমভাবে অন্যান্য শর্ত ভঙ্গ করার জন্য আলাদা আলাদা জেল-জরিমানার বিধান রেখে শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র আইন, ২০২০-এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে আইনের আওতায় আসছে শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র। নতুন শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র খোলার ক্ষেত্রেও এই আইনের বিধান মানতে হবে।
সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এই আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়।পরে সংবাদ সম্মেলন করে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে যৌথ পরিবার প্রথা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। একক পরিবারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মজীবী ও পেশাজীবী মায়েদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন অবস্থায় শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র আইন করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, চার ধরনের শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র করা যাবে। সরকার ভর্তুকি দিয়ে এ ধরনের কেন্দ্র করবে। সরকার বা সরকারি কোনো দপ্তর বা সংস্থা বিনা মূল্যে এই ধরনের কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের কেন্দ্র খুলতে পারবে। এ ছাড়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা বেসরকারি সংস্থা বা সমিতি বা শিল্প খাত অলাভজনকভাবে এ ধরনের কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিশু দিবাযত্নকেন্দ্রে দেওয়া সেবার গুণগত মান, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, সুরক্ষা, বিনোদন, শিক্ষা, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় বিধিধারায় নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া সভায় দেশে আরও দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে লক্ষ্মীপুরে। আর বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে বগুড়ায়।
বর্তমানে দেশে ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া কিছুদিন আগে আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।