অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ৬ মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জামিন বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, তার কারাবাসের মেয়াদ বেশিদিন হয়নি। তাই এত তাড়াতাড়ি জামিন দেওয়া হলে আদালত সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ ধারনার সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া এখন জামিন দেওয়া হলে মামলার তদন্ত কাজ বাঁধাগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই এ মূহুর্তে তাকে জামিন দেওয়া যুক্তিসংগত হবে না।
আদালতে বজলুর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
এজাহার অনুযায়ী ডিআইজি বজলুর রশিদ রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন, যা অবৈধভাবে অর্জিত টাকায় কেনা। এ বিষয়ে দুদক সম্মিলিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, সিদ্ধেশ্বরীতে রূপায়ন হাউজিংয়ের স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট কেনেন বজলুর রশীদ। দাম পরিশোধ করা তিন কোটি ৮ লাখ টাকা। এ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। এই তথ্য তার আয়কর নথিতেও দেখানো হয়নি। এছাড়া এই টাকা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গেও অসঙ্গতিপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দফতরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ডিআইজি হিসেবে এর আগে সর্বশেষ রাজশাহীতে ছিলেন তিনি। জেল সুপার পদে বরগুনায় কর্মজীবন শুরু করে সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি এবং জ্যেষ্ঠ জেল সুপার হিসেবে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত ছিলেন।