বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিচার কার্যক্রম চালানোর জন্য নতুন অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে হওয়া মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেলেই ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ্যাৎ ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কাজ চালানোর উদ্যোগ নিতে পারবে আদালতগুলো।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আজ দুপুরে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তগুলো সরকারি গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সচিব বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা জট যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বিচারপ্রার্থীরা বিচারপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে এবং বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম করার জন্য আইনি বিধান প্রণয়ন করা প্রয়োজন।’
তাই ভিডিও কনফারেন্সিংসহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ এর খসড়ার প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই ব্যবস্থায় আসামিকে জেলখানায় রেখে, আইনজীবীকে বাসায় রেখে ও সাক্ষীকে অন্য জায়গায় রেখে ভিডিও কনফারেন্সিং এবং অন্যান্য ডিজিটাল পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করে বিচারকার্য করা সম্ভব হবে। এটাই হলো এই অধ্যাদেশের মূল বক্তব্য।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এর বাইরে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া আরো দুইটি আইন ও অধ্যাদেশ হলো- মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) আইন-২০২০ এবং ইনকাম ট্যাক্স (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০। সীমিত পরিসরের মন্ত্রিসভা বৈঠকে উল্লিখিত তিনটি আইনি ও অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।