নঈম মোরশেদ:
ডিজিটাল বাংলাদেশের হাত ধরে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত সরকারী বেসরকারী বহু সেবা পৌঁছে যাচ্ছে বহু আগে থেকেই। সরকারী সেবা স্বচ্ছতার সাথে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে পৌঁছে দিতে ডিজিটাল ভার্চুয়াল মাধ্যমকে অপেক্ষাকৃত বেশী কার্যকর বলে মত পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে। আমাদের বিচার ব্যাবস্থার ডিজিটাইজেশনের উদ্যেশ্যে সরকার অনেক আগেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। সরকারের a2i প্রকল্পের আওতায় আগে থেকেই e-jdiciary স্থাপনের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের তথা বিচার বিভাগের ওয়েবপোর্টাল তৈরী করা হয়েছে।
অবশ্য আমরা এসব কিছু চালুর প্রাথমিক ধাপে আছি। তবুও বর্তমান করোনা মহামারী অন্য যে কোন খাতের মত বিচার অঙ্গনকেও চোখে আঙ্গুল দিয়ে পূর্ণ মাত্রায় ই-জুডিসিয়ারী চালু করার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে দিচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অন্য অনেক কাজের মত বিচার কাজও থমকে গেছে। যদিও জেলা পর্যায়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জরুরী কর্ম সম্পাদনের জন্য করোনাজনিত বন্ধ ঘোষনার শুরু থেকেই এক বা একাধিক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়মিত কগনিজেন্স আদালত চালু রাখতে দায়িত্বে রাখা হয়েছে। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিচারপ্রার্থী জনগণ এবং বিজ্ঞ আইনজীবীগণ কোন মামলা দায়েরের বা কোন শুনানী করার সুযোগ নিতে পারেননি। সাধারন নিয়মিত আদালত কর্যক্রমও সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশেই বন্ধ ছিল। কেবল পুলিশি মামলা গ্রহন, নতুন গ্রেফতারকৃত আসামীকে হাজতে প্রেরন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশি কার্যক্রমে ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমোদনমূলক কাজ, কোন কোন ক্ষেত্রে স্বপ্রনোদিত হয়ে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পুলিশি তদন্তের আদেশ প্রদান, এজাহার রেকর্ডের জন্য থানাকে স্বপ্রনোদিত নির্দেশ প্রদানের কাজ চালু থাকলেও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সে সব কাজ সময়ের সংগত কারনেই জনসমক্ষে প্রকাশ পায়নি।
দীর্ঘ লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইনের প্রেক্ষিতে হাজতি বন্দিদের হাজত কাল কোন কোন ক্ষেত্রে আইন ও মানবাধিকারের সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে বলে সদাশয় সরকারের দৃষ্টিতে আসার প্রেক্ষিতে সোস্যাল ডিস্ট্যান্স মেনটেইন করে সীমিত আকারে বিচার কর্ম চালু করার উদ্দেশ্যে অবশেষে মহামন্য রাষ্ট্রপতি ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ জারী করেন। এ আইনের ক্ষমতাবলে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট দেশের সকল আদালতে জামিন বিষয়ে শুনানীর জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমকেই উপযুক্ত মনে করে এ সংক্রান্ত বিশেষ প্রাকটিস ডিরেকশন জারী করেন। উক্ত প্রাকটিস ডিরেকশনের আলোকে গত ১১.০৫.২০২০ তারিখ থেকে আদালতে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীর জামিন বিষয়ে ভার্চুয়াল শুনানী শুরু হয়েছে।
যদিও বিচার কাজের মৌলিক কর্ম বিবেচনায় জামিন শুনানী মৌলিক বিচার কাজের সাথে তুলনীয় কিছু নয়, তবুও অভিযুক্তের, বিশেষত, গ্রেফতাকৃত অভিযুক্তের মানবাধিকার বিবেচনায় জামিন শুনানী অতীব জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। যুগ যুগ ধরে আদালতের দৃশ্যমান কাজগুলোর মধ্যে জামিন শুনানী প্রথম স্থান দখল করে আছে- এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। প্রতিদিন আদালতে যে পরিমান বিচারপ্রার্থী জনগন আসেন এবং যে পরিমান বিজ্ঞ আইনজীবী ও তদসংশ্লিষ্ট সাপোর্ট স্টাফগন আসেন তাদের বৃহদাংশই আসামীর জামিন সংশ্লিষ্ট থাকেন। আদালত অংগনে বিচার কর্মের যে বিষয়টি নিয়ে জনসাধারনের ভিতর ব্যাপক আলোচনা চলে তা হল আসামীর জামিন। আদালত অংগনে পা দিলেই একজন ব্যাক্তি তার চারপাশে এ সংক্রান্ত আলাপ, গল্প গুজবের বাক্য কিম্বা বাক্যাংশ শুনতে পাবেন। আদালতের বিচারকগণ সাক্ষ্য গ্রহন কাজে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে অনেক সময় পর্যন্ত কাজ করেন, অভিজ্ঞ বিজ্ঞ আইনজীবীগণ সাক্ষ্য উপস্থাপন ও জেরা করার কাজে অত্যন্ত কৌশলী ও মনোযোগী থেকে আদালতে নিরন্তর কাজ করে যান। বিচারকগন প্রতিটি ছোট বড় বিষয়ে শুনানী নিয়ে নিরবে নিভৃতে সারাজীবন খাস কামরায় কোয়ারেনটাইনে থেকে এমনকি নিচ বাসায় রাত অবধি পাতার পর পাতা, শত শত পাতা, কখনও হাজার পাতার রায়, আদেশ লিখে যাচ্ছেন। সারা জীবন চেম্বার কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিচারকদের রাত অবধি করা এসব কাজও সারা জীবনই এভাবে জনসমক্ষে আসেনা। এসব কর্মের প্রচারের চেয়ে জামিন শুনানীর প্রচার এবং গল্প গুজব থেকেই বুঝা যায় জামিন বিষয়টি কত জনগুরুত্বপূর্ণ।
করোনা মহামারীকালেও সামাজিক ও শারিরীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এ জনগুরুত্বপূর্ণ কাজটি যাতে নির্বিঘ্নে চলতে পারে সে দিক বিবেচনায় সময়ের সঠিক উপায় হিসেবে জামিন শুনানীর জন্য ভার্চুয়াল শুনানী গ্রহনই অধিকতর উপযুক্ত – এ বিষয়ে কোন সন্দেহ বা বিতর্ক নেই। তবে যে বিষয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে তা হল, ভার্চুয়াল শুনানী করতে আমাদের সকল বিজ্ঞ আইনজীবী ডিজিটাল সক্ষমতা রাখেন কিনা, ভার্চুয়াল শুনানীর জন্য উপযুক্ত ডিজিটাল, ইলেক্ট্রনিক টেকনোলজি এবং বিদ্যুৎ সাপোর্ট আমাদের আছে কিনা।
আমাদের স্মরন করা দরকার আজ থেকে বিশ পঁচিশ বছর পূর্বে আমাদের দেশে কেবল কম্পিউটার ব্যাবহার শেখার কেন্দ্র দেখা যেতো অলিতে গলিতে। এখন সেরকম প্রশিক্ষন কেন্দ্র তেমন একটা দেখা যায়না। অথচ এখন কম্পিউটার ব্যবহার জানা লোকের সংখ্যা অনেক বেশী। আসলে, ডিজিটাল টেকনোলজির ব্যবহার শেখা যত না প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষনের বিষয় তার চেয়ে বেশী অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে দিয়ে ট্রায়াল এন্ড এররের মাধ্যমে শেখার বিষয়। অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে এসব প্রযুক্তির ব্যবহারিক জ্ঞান সম্পন্ন লোক আমরা আমাদের আশেপাশেই অনেক দেখতে পাই। এসব তারা কোন প্রতিষ্ঠানে নয়, ব্যবহার করতে করতেই শিখেছেন। বিজ্ঞ আইনজীবীদের ক্লার্ক, অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ কিংবা বিচারকদের ক্লার্কদের মধ্যেও যারা এসব আগে থেকেই জানেন, তারা নিজ আগ্রহের কারনে নিজে নিজে চর্চ্চা করেই জানতে পেরেছেন। আমাদের দেশে এখন গ্রামের অল্প অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন গৃহবধুরাও ফেইসবুক ব্যবহার করেন। অনেক সিএনজি অটো রিক্সাচালকের হাতেও স্মার্টফোন দেখা যায়, তাদেরকেও ফেইসবুক চালাতে দেখা যায়। ফেইসবুক খোলা এবং এর বহুমুখি ব্যবহার এদের কাছেও এখন সহজ বিষয়। একটি ইমেইল আইডি খোলা, একটি Microsoft Team বা Zoom app ব্যাবহার করা কোন ক্রমেই ফেইসবুক আইডি খোলার চেয়ে বেশী জটিল কিছু নয়।
আমাদের গত কয়েকদিনের ভার্চুয়াল শুনানীর অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, আমাদের বিজ্ঞ বিচারক এবং বিজ্ঞ আইনজীবীদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন যে কেবল একটি ৫০০০/- ( পাঁচ হাজার) থেকে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা দামের স্মার্ট ফোন দিয়ে কীভাবে ইমেইল খোলা যায়, ইমেইলে কীভাবে ডকুমেন্ট পাঠানো যায়, কীভাবে কেবল একটি মোবাইল সেটের মাধ্যমেই Microsft Word, Microsoft Office app ব্যবহার করে দরখাস্ত লেখা যায়, কীভাবে CamScan app দিয়ে কাগজপত্রের ছবি তোলা যায় এবং স্ক্যান করা যায়, কীভাবে সে সব কিছু ফাইল আকারে ইমেইলে পাঠানো যায়। এছাড়া তাঁরা Microsoft Team বা Zoom app ব্যবহার করে ভার্চুয়াল শুনানীর অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছেন। তাঁদের এ জ্ঞান অতি সহসা অন্য আইনজীবীদের মাঝে সঞ্চারিত হবে – এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। টেকনোলজির ব্যবহারিক জ্ঞান প্রাতিষ্ঠানিকের চেয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিতেই একজনের কাছ থেকে অপর একজনের কাছে এভাবেই সঞ্চারিত হয়। আসলে এটা করোনা ভাইরাসের চেয়ে বেশী সংক্রামক। সুতরাং আমাদের টেকনোলজির জ্ঞান সীমিত এ অজুহাত অচল। কেননা আমাদের জ্ঞান সীমিত এ অযুহাতে এটা শুরু না করলে এ জ্ঞান কখনওই সীমিত গন্ডি অতিক্রম করবেনা। কারন টেকনোলজির ধর্মই এটি।
যেহেতু কেবল ৫, ০০০/- থেকে ১০,০০০/- টাকা দামের একটা মোবাইল সেটের সাথে ৩,০০০-/- থেকে ৫,০০০/- টাকার মধ্যে একটা প্রিন্টার দিয়েই দরখাস্ত প্রস্তুত, দায়ের এবং এর ভার্চুয়াল শুনানী সবই সম্ভব, হাতে লেখা দরখাস্ত ছবি তুলে স্ক্যান করে পাঠালেও গৃহীত হচ্ছে সেহেতু আমাদের টেকনোলজিকেল যন্ত্রপাতি সাপোর্ট নেই- এ কথা বলার কোন অকাশ নেই। আমরা এটা দিয়েই প্রাথমিকভাবে জামিন শুনানী করতে করতে আরো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবো। এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই আমরা বিচার কাজের ষোলআনা না হলেও অন্তত অর্ধেক বা তারও কিছু বেশী কাজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে করতে পারবো ইংশাল্লাহ। যেহেতু কাজটি মোবাইল ফোন দিয়েই হবে, সেহেতু শুনানীকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্যে পড়ার কোন আশংকা নেই। একটি মোবাইল ফোন সেট বর্তমানে অনায়াসে ৩/৪ ঘন্টা সাপোর্ট দেয়। তার সাথে চার্জার ব্যাংক যোগ করলে সারাদিন নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
কেউ কেউ ইন্টারনেট সংযোগ সমস্যা, এর ধীর গতির সমস্যার কথা বলছেন। আসলে ইন্টারনেটে ১০০/- ( এক শত) টাকার ডাটা কিনে অনায়াসেই কয়েক দিন জামিন শুনানী করা যায়। এছাড়া ছয় সাত শত টাকার মধ্যে এক মাসের জন্য আনলিমিটেড ডাটার ব্রডব্যান্ড ওয়াফাই সংযোগ পাওয়া যায় এটা অনেকেরই জানা আছে। আদালতে কেবল একটা জামিন শুনানীর জন্য আদালত পর্যন্ত যাতায়াত বাবদ একজন আইনজীবী, তার জুনিয়র, ক্লার্ক এবং মক্কেলের যে পরিমান টাকা খরচ হয়, সেটা বিবেচনা করলে নেট খরচতো এক্কেবারে নগন্য।
কেহ কেহ বলছেন ওকালতনামা, কোর্ট ফি, মামলা দায়ের, নকল প্রাপ্তি, ইত্যাদি সব কিছু ভার্চুয়াল না করে কেবল জামিন শুনানী ভার্চুয়াল করে লাভ কী? এসব প্রশ্নকারীগন ধন্যবাদ পাওয়ার উপযোগী কেবল এ কারনে যে তাঁরা আসলে সবকিছু ভার্চুয়াল করার পক্ষে বলছেন। তবে সব কিছু একসাথে করার যে ইচ্ছা তাঁরা পোষন করেছেন সেটা আসলে এ মূহুর্তে বাস্তবাযন সম্ভব বা প্রয়োজন কিনা – তা বিবেচনা করা দরকার। আগেই বলেছি ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহারিক জ্ঞান এক সাথে সব ডাইমেনশনে অর্জিত হয় না। টেকনোলজি ব্যবহার শুরু করে দিলে এর সব দিক আস্তে আস্তে আয়ত্তে আসে। আমরা সব কাজ একসাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুরু করলে সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল ভার্চুয়াল কর্ম সম্পন্ন করার সক্ষমতা রাখিনা এটা সকলেই জানি। কেবল জামিন শুনানীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই এটা অনুমিত হয়। আর বিচার কাজের বিভিন্ন অংশ আলাদা আলাদাভাবে আলাদা পদ্ধতিতে অথাৎ আংশিক ভার্চুয়াল এবং আংশিক একচুয়াল হলেও এর গুনমানে কোন সমস্যা হওয়ার কোন কারন নেই। যেসব পর্যায়ে দালিলিক ও মৌখিক সাক্ষ্যের প্রয়োজন আছে, সে সব কাজ একচুয়াল পদ্ধতিতে পূর্বের ন্যায় এখনও এজলাসে শারিরীক হাজির থেকে শুনানী করা ছাড়া ভার্চুয়ালী শুনানী করার কোন মেকানিজম আমাদের আইনে এখনও অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই সে সব কাজ এখনও আমাদেরকে আগের মতই করতে হবে। এতেতো যেসব কাজ ভার্চুয়ালী সম্ভব সেসব কাজ ভার্চুয়ালী করা থেকে বিরত থাকার কোন যুক্তি থাকতে পারেনা।
ভার্চুয়াল শুনানী নিয়ে যে সব বিতর্ক দেখছি তা লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বিরোধিতাকারীদের কেউ কিন্তু ভার্চুয়াল পদ্ধতি চালুর নীতিগত বিরোধিতা করছেন না। কেবল দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করছেন মাত্র। ডিজিটাল দক্ষতা ও সক্ষমতা কীভাবে ধাপে ধাপে অর্জিত হয় তা বুঝতে পারলে এসব প্রশ্ন কারো মনে আসবে বলে মনে হয়না। আসলে বিষয়টি আমাদের জন্য নতুন বিধায় এর পক্ষে বিপক্ষে অনেক বিতর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এসব বিতর্ক আমাদের নতুন নতুন পথ দেখাবে। নতুনভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে মনে করি। আমরা যারা এর স্টেকহোল্ডার তারা যদি এ পদ্ধতিকে ইতিবাচক মানসিকতায় গ্রহন করি তাহলে ব্যবস্থাটির সার্বিক উন্নয়নে সরকারও নিশ্চয় ভরসা পাবে এবং এর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করবেন আশা করা যায়। ভার্চুয়াল শুনানীর অনেক সুবিধার কথা আপাতত বাদই দিলাম। কেবল করোনা কালের সুবিধার কথাই আপাতত বিবেচনায় রাখা যায়। আসুন, আমরা এ করোনাকালে করোনা পজিটিঁভ না হই। তবে করোনা থেকে বাঁচার জন্য হলেও ভার্চুয়াল পজিটিভ হই।
লেখক: নঈম মোরশেদ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, রাঙ্গামাটি।