আদালত চলুক। তবে করোনার এই বিস্ফোরনের সময় ভার্চুয়ালি চলুক আরো কিছুদিন। প্রয়োজনে বেঞ্চ আর এখতিয়ার বাড়ানো হোক। ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতির আরো কিছু সংস্কার আনা হোক। যেমন মামলা ই-মেইলে প্রেরণের পর সাথে সাথে একটা নম্বর দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার দিতে হবে বেঞ্চ অফিসারদের। আর মেটারটি জরুরী বিবেচনায় শুনানিত জন্য নির্ধারিত হল কিনা তাও জানাতে হবে।
এছাড়া ক্রিমিনাল, সিভিল এবং রীট বেঞ্চ বাড়াতে হবে। দায়েরকৃত মামলাগুলো যেগুলো মোশন বাকি আছে সেগুলোও শুনানি ভার্চুয়ালি করা যেতে পারে। সিভিল আপিল, ক্রস আপিল ফাইলিং এর একটা ব্যবস্থা করাও দরকার। এই করোনায় সবচেয়ে রিস্ক এ আছেন আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা। সরকারও তাদের অফিস করতে নিরুৎসাহিত করছে। আদালত চালু হলে সবচেয়ে ঝুকিতে পড়বে আমাদের সিনিয়রবৃন্দ। আর সিনিয়ররা ঝুকিতে থাকলে এটা আমাদের আইন অংগনের জন্যই অপূরনীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াবে। অনেক বিজ্ঞ সিনিয়র সম্প্রতি ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানি করেছেন। তাঁরা প্রয়োজনে জুনিয়রদের সহযোগিতা নিক। তবুও নিরাপদে থাকুক আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা, আমাদের অভিভাবক আমাদের সিনিয়রবৃন্দ।
তানজিম আল ইসলাম : অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট