কামরুল ইসলাম হৃদয় নামে ‘ভূয়া ব্যারিস্টার’ এর বিরুদ্ধে ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে এজাহার পাঠিয়েছেন আদালত অঙ্গনে টাউট, দালাল, দুর্নীতি নির্মূল আন্দোলনের আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া।
এজাহার সম্পর্কে ফরহাদ উদ্দিন ভূঁইয়া ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কমকে বলেন, আমি ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের কাছে ইমেইলে এজাহার পাঠিয়েছি যাতে শাহবাগ থানায় এজাহারটি নিতে বলা হয়। এজাহারে অভিযোগ হলো, কামরুল ইসলাম কোন আইনজীবী নন এবং ব্যারিস্টারও নন। অনেক দিন ধরেই ভূয়া ব্যারিস্টার এবং বিভিন্ন পদ পদবী দাবী করে মানুষের সাথে স্ট্যান্ডবাজি এবং প্রতারণা করে আসছিলো।
আইনজীবী ফরহাদ বলেন, ব্যারিস্টার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং আরও বিজ্ঞ আইনজীবী এই কামরুল ইসলাম হৃদয়ের বিষয়ে সন্দেহ পোষন করে তিনি ব্যারিস্টার কিনা সেটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইউকে বার কাউন্সিল এবং লিংকনস ইনে ইমেইল করা হয়। ইমেইল এর জবাবে ইউকে বার কাউন্সিলের রেকর্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট এলেক্স পেইন্টার নিশ্চিত করেন, ১৯৬০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কামরুল ইসলাম হৃদয় নামে কোন ব্যারিস্টার ইউকে বার কাউন্সিলের রেকর্ডে নেই।
তিনি আরও বলেন, ব্যারিস্টার পদবী দিয়ে প্রতারণার বিষয়ে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ভূয়া ব্যারিস্টার নামে একটা নিউজ আসে, সেখানে আমার মন্তব্য প্রকাশিত হয়। এর পরে গত ০৬-০৬-২০২০ তারিখ রাত ১০ টায় ওই প্রতারক উনার ইমো থেকে মেসেজ দিয়ে আমাকে নানান ভাবে হয়রাণি করে এবং আমাকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। আমি সমস্ত মেসেজের স্ক্রিনশট নিয়ে এজাহারের সাথে যুক্ত করে দিয়েছি।
আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন স্যারের পরামর্শে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ধারা ২৩,২৪,২৫,২৯ এবং পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৪৯৯,ও ৫০৬ ধারায় মামলা করেছি।