এম.সি.কিউ উত্তীর্ণ ২০১৭ এবং ২০২০ শিক্ষানবিশ আইনজীদের সনদ প্রদানের দাবীতে দেশব্যাপী জেলা প্রশাষকের মাধ্যমে মানননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি মঙ্গলবার প্রদান করা হয়।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীগণ জানান, স্বাধীনতা পর্ববর্তী সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংকটকালীন মূহূর্তের সময়ে সরাসরি তালিকাভুক্তির কথা স্মরণ করে বর্তমান করোনাকালীন সময়টি ও তখনকার সময়ের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
বর্তমান করোনাকালিন সময়, সৃষ্ট পরীক্ষাজট এবং বেকারত্বের অভিশাপ থেকে সরাসরি আইনজীবি হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। শিক্ষানবিশ আইনজীবীগণ ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিটি জেলা আইনজীবী সমিতি/বার থেকে স্বাস্হ্যবিধি মোতাবেক জমায়েত হয়ে এ স্মারকলিপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাষকের মাধ্যমে প্রদান করেন।
শিক্ষানবিশ আইনজীবী একে মাহমুদ ঢাকা বার থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি জমা দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা অতীতে গত ২০১৩ সালে ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করনের মাধ্যমে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছিলেন, এমনকি বর্তমান মহামারীর সময়ে ডাক্তার ও নার্স স্পেশালভাবে নিয়োগ প্রদান করে অনন্য নজির সৃষ্ট করেছেন যা বাংলাদেশের ইতিহাসে আপনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।
সিলেট জেলা বার থেকে শিক্ষানবিশ আইনজীবি ও সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মো: আবুল হাসনাত বুলবুল জানান, বর্তমান পরিস্হিতি বিবেচনাপূর্বক যেহেতু একটি কঠিন পরীক্ষা এম.সি.কিউ উত্তীর্ণ হয়েছি, সেহেতু সৃষ্ট পরীক্ষাজট অবসানের লক্ষ্যে মানবিক দিক বিবেচনাপূর্বক অতিদ্রুত বিভাগভিত্তিক মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে সনদ প্রদান করার আকুল আবেদন জানান।
শিক্ষানবিশ আইনজীবি আইনুল হক বিশাল জানান, বার কাউন্সিল বর্তমান আইনানুসার বার কাউন্সিল অধ্যাদেশ ৪০(১),(২) বিধান মোতাবেক সনদ বর্তমান এম.সি.কিউ উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবিদের সনদ প্রদান করতে পারে। শিক্ষানবিশ আইনজীবি রবিউল হাসান রবি জানান, যেহেতু আমাদের কোন বেতন দিতে হবেনা, শুধুমাত্র পেশার স্বীকৃতিস্বরুপ সনদ প্রদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই বিষয়টি আমলে নিয়ে আমাদেরকে দীর্ঘ বেকারত্ব জীবন থেকে মুক্তি দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।