ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সারা দেশের অধস্তন আদালতে গত ১১ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ২০ কার্যদিবসে ৬০ হাজার ৩৮৯টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়েছে। এসব জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের অধস্তন আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় ৩৩ হাজার ১৫৫ জন জামিন পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ শুক্রবার ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কমকে এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, তিনটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ৮৮০ জন শিশুর মধ্যে মহামারি করোনাকালে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে ২০ কার্যদিবসে ৪৮৯ শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে। জামিনের পর এসব শিশুর মধ্যে ৪৬০ জনকে অভিভাবকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
করোনার সংক্রমণে উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ শিরোনামে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ফলে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়। অধ্যাদেশ জারির পর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে প্র্যাকটিস নির্দেশনা (ব্যবহারিক দিকনির্দেশনা) প্রকাশ করা হয়। ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হয়, যার মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের যাত্রা শুরু হয়।