শ্রম আদালতসমূহ এবং তার রেজিস্ট্রিসহ (দপ্তর) কার্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত না থাকায় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর আওতায় সংশ্লিষ্ট কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে যে সকল মামলা-মোকদ্দমা দায়ের কিংবা আপীল করার বিধান রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। যেমনঃ অভিযোগ মামলা, বকেয়া মজুরী আদায়ের দাবী, দুর্ঘটনা ও মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়, শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপীলেট ট্রাইব্যুনালে আপীল প্রভৃতি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন নির্ধারিত সময় সীমা রয়েছে।
এই সকল বিষয়ে সম্ভাব্য জটিলতা নিরসনে প্রয়োজীয় নির্দেশনা জারী করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে দরখাস্ত দাখিল করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ও শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ ড. উত্তম কুমার দাস।
তিনি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলা ডট কম কে জানান, সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে গত ৮ জুন সোমবার এই দরখাস্ত দাখিল করা হয়েছে। উক্ত দরখাস্তের অনুলিপি শ্রম আপীলেট ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান, ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না হলে বহুবিধ জটিলতা তৈরি হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিচার প্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন।
এই বিষয়ে আইনজীবী ড. উত্তম কুমার দাস আরও বলেন, আইনের সাধারণ নিয়ম হ’ল- ছুটি শেষে পরবর্তীতে যেদিন আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে সেই প্রথম দিনেই তামাদিতে পড়া সকল মামলা-মোকদ্দমা এবং আপীল দাখিল ও রেজিস্ট্রি (এন্ট্রি) করতে হবে। আর তা যদি হয় তাহলে ঐ দিন আইনজীবীদের সহকারী ও অন্যান্য লোকজন সংশ্লিষ্ট আদালতগুলোতে (রেজিস্ট্রি) হুমড়ি খেয়ে পড়বে। যা হবে ভয়াবহ বিপর্যয়। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে হলে নির্দেশনার মাধ্যমে এই সময়সীমা বর্ধিত করা দরকার। যেদিন আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে সেদিন থেকে এই বর্ধিত সময়সীমা কার্যকর হবে। আর দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে জমা মামলা-মোকদ্দমা তালিকাভুক্ত করতেও সময় দরকার হবে- সেই বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার।