সারাদেশের অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন। এর মধ্যে লালমনিরহাটের জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আহমেদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।
অন্যদিকে নিম্ন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ২৬ জন করোনা আক্রান্ত বলে জানা গেছে। সারাদেশের জেলা জজদের মাধ্যমে হাইকোর্ট প্রশাসনের কাছে এ তথ্য পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডট কমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনকালে সারাদেশে অধস্তন আদালতে এ পর্যন্ত ১৩ জন বিচারক এবং ২৬ জন কর্মচারী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন আছেন আরও চারজন বিচারক।
এই মুহূর্তে ঢাকার সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন লালমনিরহাট নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফেরদৌস আহমেদ। তাকে প্লাজমা দেয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বেগম শামীম আহমেদ।
অধস্তন আদালতের জন্য যে সকল বিচারক বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন তারা হলেন- কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদার, জয়পুরহাটের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব এস মোহাম্মদ আলী, কুড়িগ্রামের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. তৈয়ব আলী, ডিপিডিসি-২ এর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রেজমিন সুলতানা, নেত্রকোনার সহকারী জজ মো. মেহেদী হাসান, চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান এবং নোয়াখালীর হাতিয়ার চৌকি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজাম উদ্দিন।
এর আগে গত ১৪ জুন নিম্ন আদালতের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিচার-বিভাগীয় কর্মকর্তা ও সহায়ক কর্মকর্তা-কার্মচারীদের তথ্য চেয়ে সার্কুলার জারি করে হাইকোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত সার্কুলারে এই তথ্য চাওয়া হয়।