আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার ভার্চ্যুয়াল আদালত অধ্যাদেশকে একটি স্থায়ী আইনে পরিণত করতে যাচ্ছে এবং খুব শিগগিরই এটি কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই আইন পাস হলে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়েও ভার্চ্যুয়াল আদালত পরিচালনা করা যাবে এবং এর ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে অর্থ ও সময় উভয়ই কম ব্যয় হবে।
সোমবার (২৯ জুন) জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বার্ষিক সভা-২০২০ এর উদ্বোধনী ‘আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং কোভিড-১৯ পরর্বতী সামাজিক নিয়ম-নীতির প্রতিফলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি আলোচক হিসেবে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বুরকিনা ফাসোর বিচারমন্ত্রী, আর্মেনিয়ার উপবিচারমন্ত্রী, শ্রীলংকার মানবাধিকার কমিশনের প্রধানসহ জাতিসংঘ ও ইউএনডিপির বিশেষজ্ঞগণ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ এই ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হন। ইউএনডিপির ক্রাইসিস ব্যুরোর উপপরিচালক জর্জ কনওয়ে সভার সঞ্চালনা করেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনডিপি এডমিনিস্ট্রেটর আচিম স্টেইনার।
সভায় বাংলাদেশের ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করা হয় বলে আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, করোনা-ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি হ্রাস করতে সরকার সাধারণ ছুটি আরোপ করা সত্ত্বেও দেশে ন্যায়বিচারের দাবি ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইউএনডিপি প্রদত্ত প্রযুক্তিগত সহায়তায় সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বে সরকার দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অধস্তন আদালত এবং উচ্চ আদালতের কয়েকটি বেঞ্চে বিচারকার্যক্রম সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মূলত একটি অধ্যাদেশ জারি করে আদালত পরিচালনার অনুমতি দেয়। আমরা এই অবস্থাকে বজায় রাখতে এবং এই সময়কালের কয়েকটি সেরা অনুশীলনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং বিচার ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খলভাবে রূপান্তর করতে চাই।
তিনি বলেন, সরকার সাক্ষ্য আইন সংশোধন করার বিষয়ে কাজ করছে। এটা করা গেলে আইনি কার্যক্রমে কিছু ফাঁকফোকর কমতে পারে। এছাড়া সরকার করোনা পরিস্থিতিকালে জনগণকে আইনি পরার্মশ সহায়তা দেওযার জন্য সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার চালু রেখেছে।