অধস্তন দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা ও আপীল দায়ের সম্পর্কিত প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। নির্দেশনা অনুযায়ী অধস্তন দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা ও আপীল দায়ের করা যাবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে অধস্তন দেওয়ানী আদালতের সংশ্লিষ্ট সেরেস্তায় মোকদ্দমা ও আপীল দায়ের করা যাবে।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেওয়া আদালতসমূহ স্ব স্ব সেরেস্তায় শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত কারার জন্য মোকদ্দমা ও আপীল দায়ের/গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি নির্ধারন করবে। পাশাপাশি দেওয়ানী মোকদ্দমা ও আপীল গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট আদালত দেওয়ানী কার্যবিধি অনুসরণ করে সমন জারি করবেন।
তবে উপরোক্ত নির্দেশনা গত ১৫ জুন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিমূলে প্রচারিত নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহ অতীব জরুরি বিষয়সমূহ শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল কোর্টে শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে।
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, প্রাদুর্ভূত মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ রোধে বিচারক, আইনজীবীসহ অন্যান্য সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে পরিচালিত আদালতের কার্যক্রম সাময়িক ব্যবস্থা মাত্র। পরিস্থিতি উন্নতি হওয়া মাত্রই পূর্ব প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
এজন্য বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে পরিচালিত আদালতের কার্যক্রম সাময়িক ব্যবস্থা গণ্য করে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে।