ধর্ষণের শিকার এক নারীর ব্যাপারে আপত্তিকর মন্তব্য করে বেকায়দায় পড়েছেন ভারতের একজন বিচারক। জানা গেছে, ধর্ষণের ব্যাপারে ওই নারীর দেওয়া বয়ান বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেননি বিচারক। এমনকি ভুক্তভোগী নারীকে অসুন্দর হিসেবে বিবেচনা করে তার সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটার ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
এছাড়া ধর্ষণে অভিযুক্তদের গত সপ্তাহেই জামিন দিয়েছেন বিচারক কৃষ্ণা এক্স দিক্ষিত। কর্নাটক আদালতের বিচারক কৃষ্ণা জানান, ওই নারীর বয়ান বিশ্বাস করা কঠিন।
ভুক্তভোগী নারীকে তিনি প্রশ্ন করেন, কেন এতো রাতে- ১১টার সময় অফিসে গিয়েছিলেন? কেন মদ খেয়েছিলেন? কেন সকাল পর্যন্ত তাকে (অভিযুক্তদের) থাকতে দিলেন?
তিনি আরো বলেন, ভারতের কোনো নারী যখন অসম্মানের শিকার হয়, তখন তাদের আচরণ এ ধরনের হয় না।
বিচারকের এ ধরনের বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। বিক্ষোভও হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে ভারতে ধর্ষণের শিকার নারীদের বয়ান কেমন হবে, সে ব্যাপারে ধর্ষিতাদের জন্য গাইড কিংবা নির্দেশিকা থাকবে নাকি? কিংবা কোনো বিচারক আদর্শ ধর্ষণের শিকারের মানদণ্ড ঠিক করে দেবেন?
দিল্লির সিনিয়র আইনজীবী অপর্না ভাট ভারতের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের তিনজন নারী বিচারকের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে লিখেছেন, যে ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই বা আইনে লেখা নেই, সে ব্যাপারে কি বিচারের কোনো বিধান নেই? আর ভারতীয় নারী মানেই কি একটি ফরমেটের সঙ্গে মিলে যাবে? তার হেরফের হলেই সমস্যা!
বেঙ্গালোরের নারী অধিকারকর্মী মধু ভূষণ বলেন, বিচারক যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা একেবারে হতাশ হওয়ার মতো। এ ধরনের কথা একেবারেই বলা অনুচিত। তিনি আমাদের নারী এবং সম্মানহারা নারী বলে বিভেদ তৈরি করতে পারেন না। সূত্র: বিবিসি