করোনা টেস্ট না করেই ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি, কোভিট রোগীদের থেকে বিপুল অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ ৮ আসামির ৭ জনকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। অপর ১ আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক।
আজ বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
যদিও উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল।
তবে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রিমান্ড শুনানিকালে তাদের আদালতের এজলাসে তোলা হয়নি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে তাদের আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়।
এর আগে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ায় গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পরপরই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা (মামলা নম্বর- ৫) করে র্যাব। এর মধ্যে আটজন গ্রেফতার রয়েছেন। ওই মামলায় শাহেদসহ নয়জনকে পলাতক হিসেবে এজাহারভুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। মঙ্গলবার বিকেলেই উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব।
মামলার আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ (৪৩), ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), অ্যাডমিন আহসান হাবীব (৪৫), এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক (৩৩), গাড়িচালক আব্দুস সালাম (২৫), নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮), হাসপাতালের কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২) এবং মাহবুব (৩৮)। দু’জনের নাম জানা যায়নি।