ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আইনজীবী পরিচয়ে প্রতারণাকারী এক টাউটসহ বিচারপ্রার্থীদের হয়রানী করার সময় অপর একজন হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।
আজ রোববার (১২ জুলাই) ঢাকা আইনজীবী সমিতির টাউট দালাল উচ্ছেদ কমিটি তাদের আটক করেন।
সমিতির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম মাসুম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিশ্ব আদালত মানবাধিকার আইন সংস্থা নামক প্রতিষ্ঠান খুলে এ দুজন দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। আটকদের মধ্যে একজনের নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি নিজেকে উক্ত সংস্থার চেয়ারম্যান দাবী করেন।
এই টাউট তথাকথিত মানবাধিকার আইন সংস্থার মাধ্যমে, মানবাধিকার এবং সংবিধান সংক্রান্ত, দেওয়ানী, ফৌজদারি, রেভিনিউ, প্রশাসনিক, কোম্পানি, দেউলিয়া এবং ব্যাংক সম্পর্কিত, অ্যাডমিরালটি, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক সহ বিভিন্ন ধরণের আদালত কেন্দ্রিক সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছেন।
‘যে কোনো মামলায় জামিন নিতে কোন টাকার প্রয়োজন হয়না’ এই ধরণের চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের বিভ্রান্ত করেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জেল-হাজতে আটকদের আইনি প্রক্রিয়ায় বাহির করতে পারেন বলেও দাবী করেন ওই টাউট।
সংস্থার মাধ্যমে মাত্র ১-২ মাসের মধ্যেই সব ধরণের মামলা নিষ্পত্তি করেন তিনি। জমি রেজিস্ট্রি, এফিডেফিটসহ বিদেশিদেরও আইনি সহায়তা দেন বলে প্রচারপত্রে উল্লেখ করেন।
এছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এনজিও এর লাইসেন্স, কোম্পানি গঠন ও রেজিস্ট্রেশন সহ বিচারাধীন মামলা ও আপীল মামলায় আইনি সহায়তা দেবার দাবী করেন।
টাউট শহিদুল কথিত দৈনিক মানবাধিকার পত্রিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে নিজেকে সাংবাদিক বলেও পরিচয় দেন।
এদিকে ঢাকা সিএমএম কোর্টের গারদখানার সামনে থেকে টাউট উচ্ছেদ কমিটির অভিযানে এ কে এম গিয়াসউদ্দিন কায়ছার নামের আরো একজনকে বিচারপ্রার্থী লোকজনকে হয়রানী করার সময় হাতেনাতে আটক।
অ্যাডভোকেট মাসুম জানান, এই টাউটদের কোন আইনি ডিগ্রীই নাই, সনদ তো দূরের কথা। জজ কোর্টের আশেপাশে চেম্বার নিয়ে এসব অবৈধ কাজ করছিলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন তারা। আজ আটকের পর সমিতির মাধ্যমে মামলা দায়ের করে দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।