মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে ধরা পড়া দুই ভুয়া আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন-শহীদুল ইসলাম ও এ কে এম গিয়াসউদ্দিন কাউছার।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ঢাকা আইনজীবী সমিতির দপ্তর সম্পাদক এইচ এম মাসুম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার তাদের দুইজনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত রোববার (১২ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত চত্বর থেকে তাদের আটক করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনিবাহী কমিটির সদস্যরা। এরপর ঢাকা আইনজীবী সমিতির দপ্তর সম্পাদক এইচ এম মাসুম কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির দপ্তর সম্পাদক এইচ এম মাসুম বলেন, ‘শহীদুল ইসলাম ও এ কে এম গিয়াসউদ্দিন কাউছার তারা আইনজীবী না হয়েও আইনজীবী পরিচয় দিতেন। নিজেদের মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয় দিতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদালত পাড়া থেকে তাদের আটক করি। এরপর কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি শহীদুল ইসলাম অবৈধ ও অসৎ উদ্দেশে মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে ভিজিটিং কার্ড ও পোস্টার ছাপিয়ে ‘বিশ্ব আদালত মানবাধিকার আইন বাস্তবায়ন সংস্থা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। দেওয়ানি, ফৌজদারি, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ সব ধরনের মামলা সংস্থার মাধ্যমে ১-১২ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয় মর্মে পোস্টার ছাপাতেন। পরে নিজে ওকালতনামা ছাপিয়ে তা ব্যবহার করে এবং প্রত্যক্ষভাবে মামলা সংগ্রহ করে বিচারপ্রার্থী জনগণের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন।
এ কে এম গিয়াসউদ্দিন কাউছারও (৩১) নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দেন। তিনি নিজেকে মানবাধিকার চেয়ারম্যান ও আইনজীবী পরিচয় দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে মামলা সংগ্রহ করে বিচারপ্রার্থী জনগণের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন।