করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতির মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসেইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও থানা-পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) হাসানাত খন্দকার গণমাধ্যমকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হাসানাত মামলাটি তদন্ত করছিলেন।
সাবরিনাসহ এ মামলার আসামি সাতজন। অন্যরা হলেন সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী, আরিফুলের ভগ্নিপতি সাঈদ, কর্মকর্তা-কর্মচারী হুমায়ুন কবির, তানজিনা পাটোয়ারি, মামুন ও বিপ্লব।
এর আগে, গত রোববার (১২ জুলাই) সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের তেজগাঁও ডিভিশনে আনা হয়ে। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার ঢাকার আদালত সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার, সংক্ষেপে জেকেজি কাজ শুরু করেছিল ২০১৫ সালে। ওই বছরই চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসেইনকে বিয়ের পর ব্যবসায়ী আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর দাদির নামে এই ‘অলাভজনক’ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন।
ওভাল গ্রুপ লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান জেকেজি। এটি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম। প্রতিষ্ঠানের প্রধান আরিফুল হক চৌধুরী হলেও চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিতেন সাবরিনা।
জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দুজন মিলেই জেকেজি চালাচ্ছিলেন। পরে সাবরিনা জেকেজি থেকে সরে আসার কথা বলেন। ওই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পুলিশ জেকেজিতে অভিযান চালায়।
জানা যায়, বিনা মূল্যে পরীক্ষার অনুমতি নিয়ে জাল-জালিয়াতি করছিল জেকেজি। এ ঘটনায় আরিফুলসহ প্রতিষ্ঠানের আরও চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেকেজিকে ৪৪টি বুথ স্থাপন করে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছিল। শুরুর দিকে চুক্তি অনুযায়ী, তারা বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহ করে তা সরকার নির্ধারিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাচ্ছিল। তবে কিছুদিন পর তারা বাসা থেকে ৫ থেকে ৮ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করে। একপর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা না করেই তারা প্রতিবেদন দেয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ল্যাপটপে এমন ১৫ হাজার ভুয়া সনদ পেয়েছে পুলিশ।