মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট/বিচারক কর্তৃক অভিযানের সময় সাজা প্রদানের বিষয়ে প্রেস কনফারেন্স ও গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়া আইনগতভাবে বৈধ কি না, তা জানতে চেয়ে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৯ জুলাই) ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন টেলিভিশনে দেখা যায় যে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগকালে বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করার সময় ও সাজা প্রদান করে গণমাধ্যমে সাজার বিষয়ে বক্তব্য দেন। আপনাদের নিকট এই লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে জানতে চাই যে, বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগকালে কোনো বিচারক/নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক গণমাধ্যমে/মিডিয়ায় বক্তব্য প্রদানের আইনগত সুযোগ আছে কি না ?’
এছাড়া ‘অভিযানের আগেপরে সাজার বিষয়ে সরাসরি গণমাধ্যমে বিচারিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বক্তব্য প্রদান দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধানের সুস্পষ্ট বিধানের পরিপন্থী, বেআইনি হবে কি না? তা জানা আবশ্যক’ বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘যদি সংবিধান ও প্রচলিত আইনের বিধান লঙ্ঘন করে বিচারিক বিষয় নিয়ে বিচারক/নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করেন, তাহলে কেন তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় (নোটিশগ্রহীতা) কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না, তার একটি সুস্পষ্ট ব্যাখা প্রদান করা দেশের আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় জরুরি বলে আইনজীবী সমাজ মনে করে।’
নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট জুলাফিকার আলী জুনু বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব, আইন, বিচার সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠিয়েছি।
‘নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছি। অন্যথায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট পিটিশন দাখিল করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সাজা প্রদানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট কর্তৃক গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়া কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক হবে না মর্মে আদেশ চাওয়া হবে,’- যোগ করেন নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী।