ভূমি আপিল বোর্ডের মামলা ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার সক্ষমতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বর্তমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে ভূমি সেবা প্রদান করার জন্য ও ভবিষ্যৎ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ভূমি মন্ত্রণালয় সঙ্গে এর আওতাধীন দফতরের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০ অর্জনের জন্য জাতীয় সংসদে জাতির সামনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা আমাদের জন্য এক বড় পাওয়া। আমাদের কাছে জাতির এখন অনেক আশা। আমরা যেন স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে আরও ভালোভাবে কাজ করে আমাদের এ অর্জন ধরে রাখতে পারি সে চেষ্টা করে যেতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার প্রধানদের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী লক্ষ্য পূরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, এ বছরের ভালো কর্মকাণ্ডের একটি সুন্দর প্রতিচ্ছবি যেন আগামী বছর আমরা দেখতে পাই।
ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার প্রধান সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভূমি সচিব এ সময় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান বেগম উম্মুল হাছনা, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আব্দুল হাই ও হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) দফতরের হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) মো. মশিউর রহমান নিজ নিজ দফতর/সংস্থার পক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অপরপক্ষে, ভূমি সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।লেখ্য, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সুসংহতকরণে সচেষ্ট। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা একান্ত অপরিহার্য। ফলশ্রুতিতে সরকারি কর্মকাণ্ডে দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণের উদ্দেশ্যে আধুনিক কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হয়। এ পদ্ধতিতে মূলত সরকারি কার্যক্রমকে ‘পদ্ধতি নির্ভর’ হতে ‘ফলাফল নির্ভর’ করা হয়েছে।
এ চুক্তি কোনো কার্যালয়ের প্রধানের সঙ্গে তার পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কার্যালয়ের প্রধানের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক বছর মেয়াদী একটি চুক্তি, যাতে উভয় পক্ষ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়। অর্থবছর শেষে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।