এক জুনিয়র আর্টিস্টকে পারিশ্রমিক না দিয়ে মারধরসহ হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগে হিরো আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদালতে বাদী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট রিজভী হাসান পরশ এবং অ্যাডভোকেট মকিম মন্ডল।
বাদী পক্ষের আইনজীবীরা ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ভিকটিম- জুনিয়র আর্টিস্ট মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশা মারধর, চুরি এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি শুনানি শেষে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।”
এর আগে, হিরো আলমের বিরুদ্ধে “সাহসী হিরো আলম” সিনেমাতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়কারী মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশাকে অভিনয় করার পরে চুক্তিভুক্ত শুটিংয়ের টাকা চাওয়াতে মারধরসহ উক্ত জুনিয়র আর্টিস্ট এর চেন ও হাত ঘড়ি চুরির অভিযোগ এনে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক উক্ত জুনিয়র আর্টিস্ট মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাটি গ্রহণ করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশা জানান, আমি হিরো আলমের সঙ্গে ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিতে দ্বিতীয় খলনায়ক হিসেবে অভিনয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকায় চুক্তি করি। চুক্তি অনুযায়ী, গাজীপুরের মনপুরা শুটিং স্পটে অভিনয় করতে যাই। সেখানে কিছুদিন অভিনয় করি। এর মধ্যে ঢাকায় আসার সময় হিরো আলম আমার হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, “বাকি টাকা পরে দেব। আমি বাসায় এসে কিছুদিন পর তার মোবাইলে ফোন দেই। তিনি ফোনে আমাকে বলেন,কিসের টাকা পাবি তুই। তুই কোনো টাকা পাবি না।”
মোঃ নয়ন মিয়া ওরফে জুনিয়র মিশা আরো বলেন, “এরপর হিরো আলম আমার ফোন ধরত না। গাজীপুরে ছবির শুটিংস্থলে টাকা চাইলে হিরো আলম আমাকে শুটিংয়ের দা দিয়ে আঘাত করে, কিল-ঘুষি মারে। আমি সেখান থেকে চলে আসি। এরপর ১৯ জুন এফডিসিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাই। হিরো আলম আমাকে সেখানে মারধর করেন। হিরো আলমের লোকজনের ভয়ে আমি জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি। তাই আমি আদালতে মামলাটি করি।”