পদত্যাগকারী স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও রিজেন্ট হসপাতালকে অবৈধভাবে করোনা টেস্টের অনুমতি প্রদানের দায়ে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু এ নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনু ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, ইমেইল ও কুরিয়ার এর মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) কে এ নোটিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে জনস্বার্থে যথাযথ নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।
নোটিশে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা দেখে এটাই প্রমানিত যে, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা এতো চরমে পৌঁছেছে যে, অধিকাংশ কোভিড হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ নেই বলে জানা গেছে। করোনা প্রার্দুভাবের শুরু থেকেই দুর্নীতি শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক ডিজির আর্শিবাদপুষ্টদের কাছে করোনা যেন আর্শিবাদরুপে আবির্ভাব হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেমন পিপিই, মাস্ক, ওষুধ সরবারহ দিয়ে শুরু বলা যায়।’
এসব অনিয়ম কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কি আদৌ আছে? করোনাকালেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার সামগ্রীর কেনাকাটায় দুর্নীতি চরমে। এর দায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পদত্যাগকারী সাবেক ডিজি এড়াতে পারে না। করোনা মহামারির এই সংকটকালে পুরো জাতি যখন ভীষনভাবে উদ্বিগ্ন, যখন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে, যখন সরকারি হিসেব মতেই দৈনিক প্রায় ৪০ জন করে করোনা রোগী মারা যাচ্ছেন তখন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল। স্বাস্থ্যখাতের জবাবদিহিতাহীন দুর্নীতির দায় অবশ্যই সদ্য পদত্যাগকারী স্বাস্থ্য অধিদফতর এর ডিজিকে বহন করতে হবে। জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা ও রিজেন্ট হাসপাতালের চুক্তি স্বাক্ষর এর দায় অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদফতর কে নিতে হবে।
২০১৪ সাল থেকেই রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স অবৈধ জানা সত্ত্বেও হাসপাতালটিতে করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর কিভাবে চুক্তি করলো? ওই চুক্তি অনুষ্ঠানে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর, স্বাস্থ্য সচিবসহ কয়েকজন সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ আরও অনেকে উপস্থিতি ছিলেন বলে আমরা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে দেখতে পেরেছি। এই ধরনের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর উপস্থিতি থাকার প্রটোকল নেই।’
অতএব, আপনাদেরকে অত্র লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি অনিয়মের ও প্রতারক সাহেদকে অবৈধ সুযোগ প্রদানের দায়ে সদ্য পদত্যাগকারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি আবুল কালামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান পুর্বক ফৌজদারী কার্যবিধির সুনির্দিষ্ট বিধান মতে নোটিশ গ্রহীতা কর্তৃক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার অনুরোধ করছি। অন্যথায় জনস্বার্থে যথাযথ নির্দেশনা চেয়ে মহামান্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হবে।