বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া (ভার্চ্যুয়াল) ও শারীরিক উপস্থিতিতে- দু’ভাবে হাইকোর্টে বিচার কাজ পরিচালিত হবে।
আজ বুধবার (১২ আগস্ট) থেকে উভয় পদ্ধতিতে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ৫৩টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। এরমধ্যে ভার্চ্যুয়ালি ৩৫টি এবং বাকি ১৮টি বেঞ্চ শারীরিক উপস্থিতিতে পরিচালিত হবে।
এ বিষয়ে সোমবার (১০ আগস্ট) বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ প্রশাসন শাখা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে বুধবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চগুলো গঠন করেছেন।
এতে দ্বৈত ও একক মিলিয়ে ১৮টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। একক বেঞ্চগুলো হলো- বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী।
অন্যদিকে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ; বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী; বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব; বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর; বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক; বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান; বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন; বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার; বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান; বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান; বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম; বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন এবং বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদরের দ্বৈত বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট দুই পদ্ধতিতে বিচারকাজ চলবে বলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মহামারি করোনাকালে ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এর সঙ্গে মিল রেখে আদলতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে দফায় দফায় সাধারণ বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদও।
এরমধ্যে অধ্যাদেশ জারির পর ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চ্যুয়াল বিচার কাজ শুরু হয়। ওই অধ্যাদেশটিকে পরে আইনে পরিণত করা হয়। সবশেষ গত ১৬ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এদিকে, গত ৩০ জুলাই অধস্তন আদালতে ৫ আগস্ট থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চালুর সিদ্ধান্ত দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সে অনুসারে অধস্তন আদালতে বিচার কাজ শুরু হয়।